বগুড়া গাবতলী উপজেলার দুটি স্কুল থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ৮ সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে স্কুল দুটি থেকে জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেওয়ার সরকারের সিন্ধান্ত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর  বগুড়া গাবতলী উপজেলার দুটি স্কুল থেকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রণালয়ের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে স্কুল দুটিতে জিয়াউর রহমানের নাম আবারও স্থাপনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

স্কুল দুটি হলো শহীদ জিয়াউর রহমান গার্লস হাইস্কুল, যা পরিবর্তন করে করা হয়েছে সুখানপুকুর বন্দর গার্লস হাইস্কুল। আরেকটি গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল, যা পরে হয় গাবতলী পূর্বপাড়া হাইস্কুল।

পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ১৯ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্কুল দুটির নাম পরিবর্তন করতে আদেশ দিয়েছিলেন। পরে এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ২০০০ সালে প্রথম স্কুলটি শহীদ জিয়া হাইস্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলের সব কারর্যক্রম সেই নামেই পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এই নামটি পরিবর্তন করা হয়। একইভাবে ১৯৯৬ সালে গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এই নামেই স্কুলের সব কাজ পরিচালিত হয়ে আসছিল কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পরিবর্তন করা হয়।

পরে এই এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।

এমএইচডি/এনএফ