হাদি হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামিকে আত্মগোপনে সহায়তায় অভিযুক্ত রাজু রিমান্ডে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত আসামি আমিনুল ইসলাম রাজুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল দাউদকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে থাকতে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আমিনুল ইসলাম রাজুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত অবস্থায় গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা ও বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। তবে হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।
এনআর/বিআরইউ