কলাবাগান থানার সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাড়ির দারোয়ান দুলাল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

আনুশকার মৃত্যুর পর থেকে দুলাল পলাতক ছিলেন। বর্তমানে তাকে কলাবাগান থানায় রাখা হয়েছে।

তাকে মামলার সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় দুলালের নাম নেই, তাই তাকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। যখন আনুশকা দিহানের বাড়িতে যায় তখন দারোয়ানের ডিউটিতে ছিল দুলাল। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।

কলাবাগান থানার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, দুলাল ওই বাড়ির প্রত্যেকের মুভমেন্ট দেখেছে। সে চাক্ষুস সাক্ষী। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

আনুশকার মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুলালসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে নিজ বাসায় নিয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন ওরফে শাহনূরীকে ধর্ষণ করেন দিহান। পরে আনুশকা অচেতন হয়ে গেলে তাকে কলাবাগানের আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান দিহান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনুশকাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দিহান ও তার তিন বন্ধুকে আটক করে পুলিশ।

ঘটনার দিন রাতে কালবাগান থানায় দিহানকে আসামি করে মামলা করেন আনুশকার বাবা মো. আল আমিন। আনুশকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় মামলাটি করা হয়। পরদিন ৮ জানুয়ারি দিহানকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ওইদিন বিকেলে আনুশকার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেসনিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আনুশকার মৃত্যু হয়েছে। তার যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দুই দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ময়নাতদন্তে দেহের দুই অংশেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ধস্তাধস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি ছিল। তাদের ডিএনএ নমুনা এবং ভিসেরাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় শুক্রবার রাতে দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এআর/এসআরএস