ময়লা আবর্জনায় দূষিত বুড়িগঙ্গার পানি/ ফাইল ছবি

রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ রোধে আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ-পরিকল্পনা প্রণয়ন করে হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধ সংক্রান্ত চলমান একটি মামলায় রায় বাস্তবায়নের প্রতিবেদনে শুনানির পর এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

আদালত বলেছেন, রায় বাস্তবায়নে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদক্ষেপ খুবই ধীরগতিসম্পন্ন। এভাবে চলতে থাকলে বুড়িগঙ্গার দূষণ কোনোদিন বন্ধ হবে না। বরং রায় অকার্যকর হয়ে যাবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ওয়াসার পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী উম্মে সালমা।

এর আগে, ১৪ সেপ্টেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধে রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানকে সর্তক করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে রায় বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়।

ঢাকার শ্যামপুরের ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকার বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে বর্জ্য নিঃসরণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১০ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১১ সালে হাইকোর্ট তার রায়ে ওয়াসার এমডিকে ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে কারখানার বর্জ্য নিঃসরণ লাইন বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় একটি সম্পূরক আবেদনের ওপর শুনানিতে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।

পরবর্তী সময়ে গত বছরের ১৮ আগস্ট এবং গত বছরে ৭ সেপ্টেম্বর দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় তা গ্রহণ না করে সময় প্রদান করেন হাইকোর্ট।

এমএইচডি/এফআর