১১ মাসে ৩০ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোবাইল কোর্টে ১৪৩৭টি মামলা করা হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো.মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বিজ্ঞাপন
এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আগামী তিনমাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধবিরোধী অভিযানের সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এক আদেশে সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আদালতে প্রতিবেদন দেয়।
২০১৯ সালের ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই বছরের ১৭ জুন রিট করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।
এমএইচডি/এনএফ