পাপুল পরিবারের অর্থপাচার : নথি জালিয়াতি নিয়ে শুনানি কাল
ফাইল ছবি
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামের অর্থপাচার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত নথি জালিয়াতি হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল (সোমবার) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে এমপি পাপুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামের অর্থপাচার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত সমস্ত নথি তলব করেন হাইকোর্ট। ওই দিন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছিলেন, সেলিনা ইসলাম ও ওয়াফা ইসলামের অর্থপাচার বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত সমস্ত নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। অর্থপাচারের বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখতে আদালত মূল নথি তলব করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে একই আদালত লক্ষ্মীপুর-২ শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামসহ চার জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
অর্থ পাচার ও মানব পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল গত বছরের ৬ জুন গ্রেপ্তার হন কুয়েতে। সেখানে তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলছে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, অর্থপাচার, মানবপাচার এবং ভিসার অবৈধ লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে। এরপর গত ১১ নভেম্বর পাপুলসহ তার স্ত্রী সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এমএইচডি/এনএফ