প্রয়াত কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাতের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার ‘কবিতা সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। 

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান হলে কবিতা সমগ্র গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অন্যন্যা প্রকাশনী। 

কালি ও কলমের সম্পাদক কবি সুব্রত বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক সৌভিক রেজা। 

এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন—কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাতের স্ত্রী ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাসিক পত্রিকা কালি ও কলমের সাবেক সম্পাদক আবুল হাসনাতকে অনেকেই চেনেন, তবে ষাটের দশক থেকে তিনিই যে মাহমুদ আল জামান নামে আড়ালে কবিতা লিখে গেছেন সেই তথ্য অনেকেরই অজানা। তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লেখালেখি করেছেন। কিন্তু জীবনে যেমন নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ ছিলেন, কবি হিসেবেও তিনি নিজেকে আড়ালেই রেখেছিলেন। 

বক্তারা আরও বলেন, মৃত্যুর আগে সাংবাদিক আবুল হাসনাতের তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তার কবিতা সমগ্র। তার কবিতা আর মনোগত অভিপ্রায় বিচিত্র বিস্তারের সাক্ষী। সেখানে আবেগ যেমন আছে, তেমনই আছে স্মৃতির কথন; আছে বর্তমানের হাহাকার। সম্পাদনায় হাসনাত ছিলেন নৈর্ব্যত্তিক, কিন্তু কবিতায় ছিলেন বিপরীত। এখানে তার ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ, আবেগ মান-অভিমান জায়গা করে নিতো। এজন্যই তাকে কবিতায় আরও ব্যাপকভাবে খুঁজে পাওয়া যেত। আবুল হাসনাতে লেখা কবিতাগ্রন্থগুলো হলো—জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক, কোনো একদিন ভুবনডাঙায়, ভুবন ডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল ও নির্বাচিত কবিতা। এসব কবিতাসমগ্র পড়লে রুচি স্নিগ্ধ এক কবির দেখা পাওয়া যায়। 

অনুষ্ঠানে আবুল হাসনাতের স্মরণে যৌথভাবে কবিতা আবৃত্তি করেন—রামেন্দু মজুমদার ও ত্রপা মজুমদার, কবি মাহবুব সাদিক ও হাসান হাফিজ  এবং সুহিতা সুলতানা ও পিয়াস মজিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ত্রপা মজুমদার।

কেএ