গণমাধ্যমকর্মী আইন ২০২২-এ ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতা চালু, চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ ও সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী সব ধারা বাতিলের দাবি করেছে প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম করম আলী বলেন, যখনই সাংবাদিকরা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তখনই নির্মমভাবে নানা আইন নেমে আসে। গণমাধ্যমকর্মী আইন ২০২২-এর ধারা সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী। আমরা এই আইনের ধারাগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে পারছি না।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে, সরকার ও সংবাদপত্রের কলাকুশলীরা মিলে সমঝোতা করে এমন ধারা যুক্ত করুন যেখানে গণমাধ্যমকর্মী ও সংবাদপত্র উভয়েরই কল্যাণ হবে। নতুন গণমাধ্যমকর্মী আইনে প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিকদের জন্য কোনো ধারাই যুক্ত নেই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে বিভিন্ন ভাতা প্রচলন করেছেন। আমরা আমাদের কর্মাহত ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতা চালুর দাবি করছি।

সাধারণ সম্পাদক শিকদার আবদুস সালাম বলেন, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) আইন ২০২২’-এর কোনো ধারাতেই প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিকদের কথা উল্লেখ নেই। চাকরি শেষে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পেনশন ও অবসর ভাতা দিচ্ছে। বৃদ্ধ বয়সে আরামে তাদের জীবন কাটছে। কিন্তু সাংবাদিকদের? ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) আইন ২০২২’-এর  ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিকদের সম্মানজনক মাসিক ভাতার বিষয়টি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ৬০ বছর চাকরিসীমা পার হওয়ার আগেই খালি হাতে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। বৃদ্ধ বয়সে মামলা করেও টাকা পাচ্ছেন না অনেকে। অর্থের অভাবে, বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তখন কেউ খোঁজও নিচ্ছেন না।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিকরা।

আইবি/এমএইচএস