সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা। রোবরার রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংস্থাটির স্বেচ্ছাসেবকরা টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের নিবন্ধন, টিকাদান কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা প্রদানসহ টিকা গ্রহণের পর পর্যবেক্ষণ কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন।  

সংস্থাটি জানায়, রাজধানী ঢাকা ও ঢাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৩৭টি হাসপাতালের ২৩০টি টিকাদান বুথে প্রায় ৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ সারাদেশের কোভিড-১৯ টিকা কেন্দ্রে সর্বমোট ৪২ হাজার ২০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেছেন।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, সরকারের টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে স্বেচ্চাসেবকের এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

এদিকে, সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভার্নিং বোর্ডের সদস্য প্রফেসার ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত আজ সকালে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। হাবিবে মিল্লাত ছাড়াও সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড মেম্বার আলহাজ্ব গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু ও সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রথম করোনা টিকা নেন রাঙ্গামাটি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক সুনয়ন চাকমা।

করোনা টিকা নিয়ে হাবিবে মিল্লাত বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে হবে। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজেও টিকা নিলাম। কোনো রকম সমস্যা অনুভব করিনি। তাই, করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে করোনা টিকা গ্রহণ করি।

টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে নিবিড়ভাবে কাজ করায় সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এনআই/এনএফ