আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে বুধবার
ডিএসসিসির আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে নগরভবনে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মেয়র তাপস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) একযোগে ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো ‘আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-১৪২৭’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হবে। একই ভেন্যুতে আগামী ১৫ মার্চ শেষ হবে প্রতিযোগিতা।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি ফুটবল এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেট খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। উভয় খেলার সমাপনী হবে ১৫ মার্চ। ফুটবলের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। আর ক্রিকেটের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আউটার স্টেডিয়ামে। ক্রিকেট ও ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দলকে পাঁচ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। উভয় ক্ষেত্রে রানার-আপ দল পাবে তিন লাখ টাকা পুরস্কার। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্পন্সর হিসেবে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড এবং কো-স্পন্সর হিসেবে ওরিয়ন গ্রুপ সহযোগিতা করছে।
বিজ্ঞাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে ক্রীড়ামোদী বঙ্গবন্ধুকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একযোগে ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এতে ৬৩টি ফুটবল দল ও ৬৪টি ক্রিকেট দল অংশ নিচ্ছে। ঢাকার ১৩টি মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসসিসির আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে নগরভবনে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, আমাদের অনেক মাঠ দখল হয়ে গেছে, সংকুচিত হয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো উদ্ধার করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করার পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছি। আমাদের ইচ্ছা আছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে যাতে একটি করে খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা করা যায়।
বিজ্ঞাপন
মেয়র তাপস বলেন, সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এই প্রথম আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা হবে। আগামী বছর থেকে খেলার পরিসর বাড়িয়ে পাঁচটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। তখন বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ও কাবাডি খেলা প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওয়ার্ড থেকে খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগের সূচনা হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ডভিত্তিক এই আয়োজনের মধ্য দিয়েই জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে।
এএসএস/এসএসএইচ/এনএফ