ছবি- সংগৃহীত

সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকা শহর এবং এর আশেপাশের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০০ টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান ভাড়া নিতে পারবেন। আর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার তিন টাকা হারে দিতে হবে বলে উল্লেখ করে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত ‘ফ্রিজিং ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার নীতিমালা, ২০২০’ জারি করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী- ব্যবহারকারী হিসেবে যোগ্য ব্যক্তির স্ত্রী/স্বামী, পিতা-মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি, ছেলে-মেয়ে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাই, অবিবাহিত/তালাকপ্রাপ্ত/বিধবা বোন, পিতামহ-পিতামহী এবং পুত্রের বিধবা স্ত্রী ও শিশু সন্তান ব্যবহার করতে পারবেন। 

ফ্রিজিং ভ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সব কর্মচারী ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন। ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন।

নীতিমালা অনুযায়ী- অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার সব কর্মচারী, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মচারীরা ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন। ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন বলেও নীতিমালায় জানানো হয়। 

নীতিমালায় বলা হয়, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের অনুমোদনে বাংলাদেশের যেকোনও অঞ্চলে ফ্রিজিং ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা যাবে। মরদেহ বা অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহন ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ফ্রিজিং ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা যাবে না। যেসব অঞ্চলের রাস্তায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেসব অঞ্চলে যাতায়াত করবে না। 

এতে বলা হয়, অনুমোদিত চলাচলের ক্ষেত্রে যানবাহনের কোনো ক্ষতি হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন। গাড়ি ব্যবহারের পর গাড়িতে সংযোজিত ভেকেল ট্রাকারের অতিক্রান্ত দূরত্ব অনুযায়ী প্রকৃত দূরত্ব হিসেবে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোডে তিন দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে হবে। চালানের মূল কপি সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে জমা দিয়ে না-দাবিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রাপ্ত আয় নন ট্যাক্স রেভিনিউ হিসেবে গণ্য হবে।

ফ্রিজিং ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারী অথবা তার পরিবারের যেকোনো সদস্য নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে পারবেন। সার্বক্ষণিক সেবাদানের লক্ষ্যে পরিবহন কমিশনার হট লাইন নম্বর চালু এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। পরিবহন কমিশনার এ সেবাদানের জন্য উপযুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্ব দেবেন। আবেদনকারীর সংখ্যা একই সময়ে একাধিক হলে অগ্রাধিকার বিষয়ে পরিবহন কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।

এসএইচআর/ওএফ