তিন প্রকল্পে ১৭৯ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে দ. কোরিয়া
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (কয়কা) ভবন/ ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১৭৯ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ’, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘ইমপ্রুভ দ্য রিহেভেলিটি অ্যান্ড সেফটি ইন ন্যাশনাল হাইওয়ে করিডর অব বাংলাদেশ বাই ইন্ট্রোডিউশন (আইটিস)’ এবং জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘সেফটি সাইবার প্রেস অব ডিজিটাল বাংলাদেশ ইনহেচিস ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক প্রকল্প।
বিজ্ঞাপন
গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (কয়কা) সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার প্রতিনিধি এবং কোরিয়া সরকারের পক্ষে কয়কার কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ং আ দোহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কোরিয়া সরকার কয়কা’র মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে অনুদান দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ’ শীর্ষক প্রকল্পে অনুদান সহায়তা বাবদ সাত দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ৬৩ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা) দেবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তা উন্নয়ন শিক্ষার জন্য অবকাঠামোগত (স্থান, সরঞ্জামাদি) উন্নয়ন; যুগোপযোগী পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সম্পর্ক ও নেটওয়ার্ক মজবুত করাসহ গবেষণা এবং পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘ইমপ্রুভ দ্য রিহেভেলিটি অ্যান্ড সেফটি ইন ন্যাশনাল হাইওয়ে করিডর অব বাংলাদেশ বাই ইন্ট্রোডিউশন (আইটিস)’ শীর্ষক প্রকল্পে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি অনুদান হিসেবে দিচ্ছে আট দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ৭৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা)। এর মাধ্যমে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই সড়ক পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণ, দক্ষ এবং কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং কার্যকর সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘সেফটি সাইবার প্রেস অব ডিজিটাল বাংলাদেশ ইনহেচিস ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক প্রকল্পে অনুদান হিসেবে দেশটি দিচ্ছে চার দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ৪০ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা)। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধসহ প্রচলিত অপরাধগুলো সুষ্ঠুভাবে দমনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডিজিটাল তদন্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাক্ষ্য-প্রমাণ নির্ভর মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশি কার্যক্রম বেগবান করতে গুণগত মানসম্পন্ন ডিজিটাল ফরেনসিক সেবা নিশ্চিত করা ও উপযুক্ত সক্ষম মানবসম্পদ গড়ে তোলা হবে।
এনএম/এফআর