প্রতিদিনই সচিবালয় ক্লিনিকে বাড়ছে করোনার টিকা নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা। গত তিনদিনে ৮০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ক্লিনিক থেকে টিকা নিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ক্লিনিকের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সারা দেশের মতো রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ ক্লিনিকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা নেন ১৬৭ জন, দ্বিতীয় দিন ২৫৭ ও তৃতীয় দিন ৩৮০ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। তিনদিনে সচিবালয়ে কর্মরত মোট ৮০৮ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন।

এদিকে সকালে টিকা নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। টিকা নেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে খুব স্বাভাবিক আর আরামদায়কই মনে হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক আগেই দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গতকাল এবং এর আগেও আমাকে ফোন করে বলেছেন, তোমার সব শিক্ষককে টিকা দিয়ে দাও, যেহেতু আমরা যেকোনো সময় স্কুল খুলে দেব। যাতে আমার কোনো শিক্ষক টিকার আওতার বাইরে না থাকেন।’

কবে নাগাদ শিক্ষকদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের টিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা যেকোনো সময়, আজ থেকে সাতদিনের মধ্যে টিকা নেওয়া শেষ করব। আমি নিজেও নিয়েছি, আমাদের সচিবালয়ের সবাই নিয়েছে। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ এ সময় শিক্ষকদের যথাসময়ে টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে রোববার সকালে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ক্লিনিকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন দুপুর ১টায় টিকা নেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এরপর সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টিকা নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দীন।

সরকার প্রাথমিকভাবে ভারত থেকে ৭০ লাখ টিকা এনেছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টিকা ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। বাকি ৫০ লাখ টিকা সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। এ টিকা ৩৫ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে গণটিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।

এসএইচআর/এসএসএইচ/এসএম