চিড়িয়াখানায় খাবার হিসেবে জীবিত প্রাণী দেওয়া বন্ধের দাবি
বাংলাদেশ র্যবিট গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন /ছবি- ঢাকা পোস্ট
চিড়িয়াখানায় খাবার হিসেবে খাঁচায় জীবিত প্রাণী না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ র্যবিট গ্রুপ। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গ্রুপটি আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবীগুলো হচ্ছে- মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে মনুষ্যত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। চিড়িয়াখানায় সাপের তত্ত্বাবধানে ও জীবিত খাবার খাওয়াতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। সাপের খাবারের অপেক্ষায় থাকা খরগোশ সেখান থেকে সরাতে হবে ও চিড়িয়াখানায় খরগোশ প্রদর্শনের জন্য খাঁচায় রাখা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান বলেন, প্রাণীদের কিভাবে খাওয়াতে হয়, তার অনেক প্রশিক্ষণ আমাদের দেশে হয়। কিন্তু, সেগুলো বাস্তবে কিছু হয় না। কোন প্রাণী কখন খায়, ঘুমায় সেগুলো জানা দরকার।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা থেকে বিনোদনের পাশাপাশি অর্থও উপার্জন করা যায়। কিন্তু সেগুলো আমরা করতে পারছি না অযোগ্য কিছু লোকের জন্য। আমাদের দেশে সচেতনতা দরকার। আমরা শুধু জানি না বলে অনেক কিছু করে ফেলি। কিন্তু কেউ এটা বলে পার পাবেন না যে, আমি জানি না। আমরা কারও বিরুদ্ধে কথা বলছি না। শুধু সচেতন হতে বলেছি। চিড়িয়াখানায় জীবিত প্রাণী খাওয়ানোর বিষয়টি বন্ধ করতে হবে। শুধু এটাই না, সেখানে আরও অনেক কিছু হয় যা অমানবিক ও অযৌক্তিক।
বিজ্ঞাপন
বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চিড়িয়াখানায় ম্যানেজমেন্টই আলাদা। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের চিড়িয়াখায় সে ধরনের ম্যানেজমেন্ট নেই। পৃথিবী যে কত এডভান্স সেটা তারা এখনও জানে না। অন্যান্য দেশে এখন আর জীবিত প্রাণী খাওয়ানো হয় না। এটার জন্য আমাদের দেশে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের চর্চা করাতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- রবিনহুড খ্যাত আফজাল খান, বাংলাদেশ র্যবিট গ্রুপের এডমিন নাদিয়া বিনতে আলম, নাজ আফরিন খান প্রমুখ।
এইচএন/ওএফ