চট্টগ্রামের চাকতাই খাল

চট্টগ্রাম নগরীর চাকতাই ও রাজাখালি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বুধবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

মনজিল মোরসেদ জানান, চাকতাই ও রাজাখালি খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নির্মাণ কাজ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট করে। ২০১৬ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দাখিল করে জানান- বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ দখল রয়েছে। এরমধ্যে রাজাখালি এলাকায় ৬১ এবং চাকতাই এলাকায় ৬৫টি।

বুধবার এ রুলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া মামলাটি চলমান রেখেছেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এ মামলায় বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, অর্থ, এলজিআরডি ও পানি সম্পদ সচিব; চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, জেলা প্রশাসক, এডিসি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, বাকলিয়ার এসিল্যান্ড এবং ওসি।

এমএইচডি/এমএইচএস