৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি সুবিধার কারণে নারী উদ্যোক্তারা সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারছে। আজ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জয়িতাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব বিপণীকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে আজ ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের জয়জয়কার। তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রম ও ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহমান কাল থেকেই নারীরা শোষণ ও বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছে। জাতির পিতাই এদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন করেন। ১৯৬৯ সালে জাতির পিতার নির্দেশনায় মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীনের পর তিনি নির্যাতিত নারীদের চিকিৎসা ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমিতে চট্রগ্রাম বিভাগের এমন পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পাওয়া জয়িতারা হলেন- শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে কুমিল্লার সুফিয়া আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রামের মনোয়ারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা লক্ষীপুরের শিরিন আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তাসলিমা সুলতানা খানম।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের এমডি আফরোজা খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম মোহাম্মদ মমিনুর রহমানসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এসএইচআর/এসএম