অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া

পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যদিও দুদকের করা মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। অর্থাৎ তদন্তে কমেছে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামিমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল ওয়েষ্টিনের বিল হিসাবে জমা করা সাড়ে তিন কোটি টাকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হওয়া ৬০ লাখ টাকা ও নরসিংদীর একটি বাড়ির কথা উল্লেখ ছিল।

পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতিনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচারসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। তার বিরুদ্ধে আরও মামলার হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০২০-এর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়া হোটেল ওয়েস্টিনে চারটি কক্ষ চার মাস ৯ দিন ভাড়া, খাবার, আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট বিল হিসাবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকতেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সেখান থেকে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়া ওরফে পিউসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাকিরা হলো- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।

আরএম/এমএইচএস