শহীদ দিবসে ঢাবির ১২ পয়েন্টে ব্যারিকেড
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সভা
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ১২টি পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সভা থেকে জানানো হয়, একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে নিরাপত্তামূলক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ১২টি পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পয়েন্টগুলো হলো- নীলক্ষেত ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, ফুলার রোড মোড়, বকশি বাজার ক্রসিং, চাঁনখারপুল ক্রসিং, শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, জিমনেশিয়াম ক্রসিং, রোমানা ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, টিএসসি সড়কদ্বীপ ও শাহবাগ ক্রসিং।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ডাইভারশন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট স্থানে ব্যানার, দিক নির্দেশক সাইনবোর্ড স্থাপন করা এবং ডাইভারশন ব্যবস্থা। মহান একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সবধরনের যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
পার্কিং
ভিভিআইপি, ভিআইপি ও বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দের জন্য ঢাবির খেলার মাঠ (জিমনেশিয়াম), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনেক্স ভবন মাঠ এবং সর্বসাধারণের জন্য নীলক্ষেত, পলাশী ও ঢাকেশ্বরী সড়কগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। অন্যান্য বারের তুলনায় সবাইকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ব্যক্তিগত আবেগের জায়গা থেকে মানুষ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আসে। তাই, সর্বোচ্চ মানবিকতা দিয়ে তাদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
এমএসি/এমএইচএস