চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে থ্রি-ডি মডেলে দেখতে চায় সংসদীয় কমিটি। এ লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম প্রসঙ্গটি তোলেন। ওই বৈঠকে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের একটি থ্রি-ডাইমেনশনাল মডেল প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প সমুদ্র বন্দরের আদলে চট্টগ্রাম বন্দরের থ্রি-ডি মডেল তৈরির পরামর্শ দেন। পরে কমিটির বৈঠকের সুপারিশেও বিষয়টি আনা হয় এবং থ্রি-ডাইমেনশনাল মডেল প্রস্তুত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- কমিটি মনে করে দেশের সকল নৌ-যানকে এখনও সার্ভের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সব নৌ-যানকে সার্ভের আওতায় আনা সম্ভব হলে এর প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করা হয়। কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব নৌ-যানকে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভের আওতায় আনা এবং রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ২৭ হাজার ৯০৭টি নৌযান রয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠকে আরও জানানো হয়, ২০২০ সালে অভ্যন্তরীণ নৌ-যানের নাবিক এবং সমুদ্রগামী জাহাজের অফিসার/নাবিকদের মাধ্যমে দেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রার আড়াই হাজার কোটি আয় হয়েছে।

কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা অংশ নেন।

এইউএ/এমএইচএস