নির্বাহী প্রকৌশলীদের আরও বেশি কাজে লাগাতে বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। তাদের যত বেশি কাজ করার কথা অনেক ক্ষেত্রে তারা সে কাজ ঠিকভাবে করছেন না।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটির (পিপিএসসি) সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
বিজ্ঞাপন
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এর একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে ই-জিপি সিস্টেম। সেই সঙ্গে সরকারি প্রকল্পে জনগণকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য কাজ হয়, সেই কাজে যদিও তাদের অংশগ্রহণ থাকে সেটি আরও অনেক ভালো হওয়ার কথা। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এলজিইডিকে বলব, জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের আপনারা ব্যবহার করতে পারছেন না। তাদের যেভাবে কাজ করার কথা, তারা সেভাবে কাজ করেন না বলে মনে হয়।
ড. শামসুল আলম বলেন, বাইরে থেকে অনেকেই কথা বলেন। তাদের ধারণা সুশাসন নেই। কিন্তু ভেতরে এসে দেখলাম সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কতোটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে ছোট ছোট প্রকল্পে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে বড় প্রকল্পেও এ রকম কার্যক্রম করা যেতে পারে। কিন্তু সে জন্য জনগণের পর্যাপ্ত জ্ঞানের প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মো. সোহেলুর রহমান চৌধুরী বলেন, ই-জিপির (ই-টেন্ডারিং) মতো ই-অডিটিং আসছে। এটিও হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি মাইলফলক। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। সরকার ও বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারের মাঝে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নিজেদের কাজ নিজেরাই তদারকির সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে একদিকে যেমন অনিয়ম ও দুর্নীতি কমছে, অন্যদিকে টেকসই অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমানে ই-জিপির মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিগগিরই ই-অডিটিং সিস্টেম চালু করার জন্য কার্যক্রম চলছে। এটি হলে অনলাইনেই অডিটররা ঘরে বসে অডিট করতে পারবেন। এটি হবে ই-জিপির মতো আর একটি মাইলফলক।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে জন অংশগ্রহণ বাড়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে। করোনা মহামারির সময়ও সরকারি কেনাকাটা কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। অনলাইনে এই প্রক্রিয়ায় দরপত্র কার্যক্রম করায় সময়, শ্রম, অর্থ সবকিছুই সাশ্রয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ইজিপিতে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৫ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬২ কোটি টাকার। অর্থ সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। শত শত টন কাগজ ব্যবহার করতে হয়নি ই-জিপি টেন্ডারের সিস্টেমের জন্য।
এসআর/এসকেডি