রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সোমবার রাত ১২টার দিকে ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নিউ মার্কেট এলাকার পরিস্থিতি।

ঈদের আগে এমন পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ঈদের আগে এমন পরিস্থিতি আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না। আমরা প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি দেখছেন এবং খুব দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করে দেবেন।

তিনি বলেন, আমরা নিউ মার্কেট এলাকার গাউছিয়া, চাঁদনিচকসহ আশেপাশের মার্কেট ও দোকান গুলোকে আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেন তারা দোকান না খোলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আমরা আশা করছি আজকে বিকেলে দোকানপাট খুলতে পারব।

এদিকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার পরিস্থিতি। ঢাকা কলেজের মূল ফটকের ভেতরে থাকা ছাত্রদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে নিউ মার্কেটের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১১টার দিকে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া।

রাতের সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ফলে সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে আজিমপুর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

এদিকে মধ্যরাতে সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘অনিবার্য কারণে ১৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স শ্রেণির সকল ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো। সকল শিক্ষককে সকাল ১০টার মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

এসআই/আইএসএইচ