বিবিএস অডিটোরিয়ামে জরিপের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান / ছবি: ঢাকা পোস্ট

দেশে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক পরিবহনের (সড়ক) সংখ্যা ২৪ লাখ ২২ হাজার ১২৯টি। এর মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহন ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯৪ এবং অযান্ত্রিক পরিবহনের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৪টি। এছাড়া মালবাহী পরিবহনের সংখ্যা ২ লাখ ৩৭ হাজার ১২৯টি। 

মালবাহী পরিবহনের মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ এবং অযান্ত্রিক পরিবহনের সংখ্যা ৪২ হাজার ৮১১টি। সড়কপথে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী পরিবহনের সংখ্যা মোট ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৭টি। 

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে ‘বেসরকারি বাণিজ্যিক যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক সড়ক ও নৌযান জরিপ -২০১৯’ এর প্রকাশনা-মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় বিবিএস। 

'মডার্নাইজেশন অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস স্ট্যাটিসটিকস' প্রকল্পের আওতায় এ জরিপ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

জরিপের মোড়ক উন্মোচন অনুসঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।  সভাপতিত্ব করেন বিবিএস'র মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

বিবিএস জানায়, পরিবহন শিল্পে (সড়ক ও নৌ পরিবহন) সরাসরি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা হয় এবং মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) খাতটির অবদান শতকরা ৮০ ভাগ। বিবিএস পরিচালিত 'বেসরকারি বাণিজ্যিক যান্ত্রিক পরিবহন জরিপ, ২০০৯' থেকে প্রাপ্ত বেঞ্জমার্ক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে এ খাতের জিভিএ প্রাক্কলন করা হয়। 

এছাড়া কভারেজ বৃদ্ধি ও বেসরকারি পরিবহন শিল্পের হালনাগাদ স্থুল মূল্য সংযোজন (জিভিএ) প্রাক্কলনের জন্য সড়ক ও নৌ পরিবহনের ওপর এ জরিপটি করা হয়েছে। জরিপের সব তথ্য সরকারি খাতের সড়ক ও নৌ পরিবহন শিল্পের তথ্য বার্ষিক বাজেট থেকে নেওয়া হয়েছে। 

এ প্রকল্পের পরিচালক তোফায়েল আহমেদ জানায়, জিডিপি নিরুপণের জন্য দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে ১৯টি আন্তর্জাতিক মানের শিল্প শ্রেণিবদ্ধকরণ (আইএসআইসি) খাতে ভাগ করা হয়। 'পরিবহন সংরক্ষণ এবং যোগাযোগ' অর্থনীতির একটি অন্যতম খাত। পরিবহন খাত দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এবং প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিরাট অবদান রাখে। এজন্যই পরিবহন খাতটি অর্থনীতির অন্যান্য সব খাতের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। 

এসআর/এসএম