গুজব উপেক্ষা করে মানুষ টিকা নিচ্ছে
করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
গুজব উপেক্ষা করে মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিনি ওই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নেন। একই সময়ে টিকা নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
টিকা নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা আসার পর মানুষ নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে আজ করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমে এসেছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মঈনুর রহমান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। গ্রহণকারীকে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শুরুতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন। কিন্তু এখন যাদের বয়স অন্তত ৪০ বছর হয়েছে, তারাও নিবন্ধন করতে পারছেন।
নিবন্ধন সাপেক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ করছে। ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলেও সারাদেশে ব্যাপক হারে কার্যক্রম শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচির সাত দিনে নয় লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। রোববার একদিনে সারাদেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জন। শেষ দিনে টিকা নেওয়ার পর সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ১৮ জনের শরীরে। আর এ পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৪২৬ জনের দেহে।
এমএসি/এসএসএইচ