কোভিশিল্ড টিকা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জন। তাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে মোট ৪৫৫ জনের। সবমিলিয়ে সরকারের টিকা কর্মসূচিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার সফলতার সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রাথমিক ভয়-ভীতি, গুজব উপেক্ষা করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে টিকা কর্মসূচি চলছে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সন্তুষ্ট। প্রাথমিকভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও মতামত প্রকাশ করেছে কমিটি।

এতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় পরামর্শক কমিটি কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের সময় নিয়ে আলোচনা করেছে। কমিটি মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবনা অনুযায়ী আট থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক। এ প্রস্তাবনা অনুসরণ করার জন্য সরকারকে বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়। টিকার মেয়াদকালের দিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে টিকা প্রদান শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আগের মতো প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লাহর নেতৃত্বে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ২৬তম অনলাইন সভা ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল সদস্যরা বিস্তারিত আলোচনা করা হয় ও উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

টিআই/ওএফ