মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গত চার দিনে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব, মাউশির অফিস সহকারী মো. নওশাদ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের হিসাবরক্ষক মকবুল হোসেন, সরকারি তিতুমীর কলেজের গ্রন্থাগারের কর্মী আব্দুল মালেক ও পরীক্ষার্থী সুমন জমাদ্দার।

বুধবার (১৮ মে) পাঁচজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, মাশিউর নিয়োগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েক জনের নাম পাওয়া গেছে। অন্যদের ধরতেও অভিযান চলছে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে,  এ ঘটনার সঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে ডিবি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের ৫১৩টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল। ওইসব পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮৩ হাজার জন। ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে এক ঘণ্টার ওই পরীক্ষায় মোট প্রশ্ন ছিল ৭০টি (এমসিকিউ)। পরীক্ষার মধ্যে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সুমন জমাদ্দারকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি বলছে, সুমনের প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ছোট ছোট করে ৭০টি প্রশ্নেরই উত্তর লেখা ছিল। তার ফোন পরীক্ষা করে দেখা যায়, দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে কেউ একজন তার ফোনে ৭০টি প্রশ্নেরই উত্তর পাঠিয়েছে।

সুমনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা করেন ইডেন কলেজের প্রধান সহকারী আব্দুল খালেক। এই মামলায় পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এমএসি/এসকেডি