স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা না মেনে শয়ে শয়ে লোক বেদিতে ওঠে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা জারি করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সর্বোচ্চ পাঁচ জন জড়ো হওয়া কিংবা মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মানেননি অধিকাংশ লোকজনই। নির্দেশনা জারি করে পাঁচ জনে সীমিত হতে পারেনি খোদ পুলিশই। একই বিধি মানতে দেখা যায়নি রাজনীতিবিদদেরও। অধিকাংশই গণ্যমান্য হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে কাউকে কিছু বলতেও পারেনি পুলিশ। শেষে আশা ছেড়ে অনেকটা উন্মুক্তই করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার।

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সাত জনকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ মিনারে যান/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

এ প্রসঙ্গে সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জনসমাগম বেশি ছিল। এতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার।

পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় ১১ জন দিয়ে/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

ফুল দিতে ৭ জন, গার্ড অব অনারে ১১!
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, শহীদ মিনারে সর্বোচ্চ জড়ো হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয় পাঁচ জনকে। কিন্তু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ফুল দিতে যান সাত জন নিয়ে। রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছয় জন নিয়ে। আর পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় ১১ জন দিয়ে। নির্দেশনা ভাঙা শুরু পুলিশকে দিয়ে হলেও এক পর্যায়ে সেই মিছিলে যোগ দেন বাকিরাও। এরপর শয়ে শয়ে লোক বেদিতে ওঠে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ছয় জনকে নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

মাস্ক ছাড়াই শহীদ বেদিতে
মাস্ক ছাড়া শহীদ মিনারে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাও ভাঙা হয় একুশের প্রথম প্রহরেই। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আসেন নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। পাঁচ জনের সীমাবদ্ধতা থাকলেও তিনি উঠেন ১০ জনেরও বেশি নিয়ে। তার সঙ্গে ওঠা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত ওঠেন মাস্ক ছাড়াই। এরপর সেখানে আসা অধিকাংশের মুখেই ছিল না কোনো মাস্ক।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ১১ জন শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান, তাদের কয়েকজনের মুখে মাস্ক ছিল না/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের বেশি মানুষ নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে দেখা যায়। শহীদ মিনারে কথা হয় ফুল দিতে আসা আহমদ কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, শহীদ মিনারে এসে দেখছি অনেকেই মাস্ক ছাড়া এসেছেন। দলবেঁধে ২০-৩০ জন নিয়ে ফুল দিতেও দেখা গেছে।

এসএসএইচ