নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা করতে হবে
শিশু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তোমরাই মূল ভূমিকা রাখবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, একুশ মানে মাথা নত করা নয়, একুশ মানে চেতনা, একুশ মানে অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িকতায় তোমরা বেড়ে উঠবে। এটাই হবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অঙ্গীকার।
তিনি আরও বলেন, আজকের শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবসকে ১৯২টি দেশ মর্যাদার সঙ্গে পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, দেশভাগের পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি ১৯৪৭ সালেই বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের লেখা ও আইন- আদালতের ভাষা করার দাবি করেছিলেন। ভাষার দাবিতে আন্দোলনের জন্য তাকে দুবার গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের উচ্চতা, গভীরতা ও ব্যাপকতার সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলন যে কত গভীর, তা দিনে দিনে বুঝেছি। শিশুদের সামনে শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা বলতে হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় যেন বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ছিল শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসএইচআর/ আরএইচ