বেলা যতই গড়াচ্ছে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢল ততই বাড়ছে। অবস্থা এমন যে পলাশী থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্ব যেতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা লাগছে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিব এবং দেশের বিশিষ্টজনরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করেন।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সর্বসাধারণ দলে দলে মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন রকম স্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে আসতে শুরু করে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলে মাস্ক পরা ছাড়া আর কোনো নিয়ম মানার বা মানানোর কোনো চিত্র দেখা যাচ্ছে না। 

এদিকে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দেওয়া ফুলে ফুলে ভরে গেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। পুরো এলাকা যেন জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বেদীতে ফুল দেওয়ার জন্য ৫ মিনিটের পথ যেতে তিন ঘণ্টা লাগলেও কোন বাধাই মানছেন না। তাইতো জনসমাগম টেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্বেচ্ছসেবকদের।

ঢাকা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম অপু বলেন, সকাল সাড়ে সাতটায় পলাশীর সামনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তিন ঘণ্টা পর শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিতে পেরেছি। এখনতো লাইনের সারি আস্তে আস্তে আরও বাড়ছে।

মিরপুর চিড়িয়াখানার স্টাফ কোয়ার্টার থেকে আশা মাসুম বিল্লাহ বলেন, সকাল ৮টায় পলাশীর আরও পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ১০টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছলাম।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ভোর থেকে সারিবদ্ধভাবে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

টিএইচ/এসএম