চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আজ তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।  এছাড়া আগামী ৩ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেছেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ফারুক হোসেন, আবু মুসা জামাল ও মনিরুল ইসলাম নামে  তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় মোট সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০১৯ সালে সবশেষ চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এরপর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। 

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন-  চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

মামলায় র‌্যাবের সম্পূরক অভিযোগপত্রে এই ১০ জনকেই আসামি করা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় সংশ্লিষ্টরা। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।

কেএম/এনএফ