কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সেক্রেটারি জেনারেল স্টিফেন টুইগ এমডিজি ও তৎপরবর্তী এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের কাছে সমগ্র বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। 

লন্ডনের সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তিসহ সিপিএ-এর কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

স্টিফেন টুইগ বলেন, সিপিএ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী। বিশেষ করে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেভাবে সফল হচ্ছে, সেখান থেকে কমনওয়েলথভুক্ত ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারে। এ সময় জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানমালায় সিপিএর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচনসহ গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে সিপিএ-এর সঙ্গে আরও জোরালো কার্যক্রম গ্রহণ করতে চায়। এসব ইস্যুতে জাতীয় সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণে কাজ করে যাচ্ছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সিপিএ-এর সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ অংশীদারিত্ব রয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশ সিপিএ-এর সদস্যভুক্ত হয়েছে। জাতীয় সংসদ আগামী বছর ৫০ বছর পূর্তিতে সিপিএ-এর সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যেখানে সিপিএভুক্ত পার্লামেন্টসমূহের স্পিকার ও সংসদসদস্যদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তা অনুসরণযোগ্য। সরকারি পর্যায়ে দেশের এসব অর্জন থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো দিকনির্দেশনা পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আন্তঃপার্লামেন্ট যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

সংসদ সদস্যদেরকে সোশাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মাঝে সংযোগ বাড়লেও এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। সোশাল মিডিয়া বিষয়ে সংসদ সদস্যদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় সংসদের সঙ্গে সিপিএর কাজের বিষয়ে স্টিফেন টুইগ আগ্রহ প্রকাশ করলে স্পিকার সিপিএকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। 

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর আরও জোরালো ভূমিকা নেওয়া উচিৎ উল্লেখ করে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তিনি সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ করেন।

বৈঠককালে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম ও যুগ্ম-সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ওএফ