যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লেখক সালমান রুশদির ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। সংস্থাটি মনে করে, রুশদির ওপর এই হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গভীর আঘাত। আর্টিকেল নাইনটিন আহত সালমান রুশদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা এবং কাউকে হত্যার ফতোয়া দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার এই হামলা মতপ্রকাশের সর্বজনীন অধিকারে বিশ্বাসী বিশ্বের প্রতিটি মানুষের ওপর আঘাত। সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ইরান কর্তৃপক্ষ যে ফতোয়া জারি করেছে অবিলম্বে সেই ফতোয়া তুলে নিতে হবে।

ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। রুশদির ওপর হামলার ঘটনাকে তাই বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশে ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য লেখকরা বিভিন্ন সময় হত্যা, হামলা ও হুমকির শিকার হয়েছেন এবং এখনও হচ্ছেন। আমরা এমন প্রত্যেকটি ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে ভিন্ন মত প্রকাশকারীদের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।     

আরও পড়ুন : সালমান রুশদি কে, মুসলমানরা ক্ষুব্ধ কেন?

আর্টিকেল নাইনটিন মনে করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শৈল্পিক স্বাধীনতার জন্য হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রতিটি গণতান্ত্রিক সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব। পাশাপাশি স্বাধীন মত প্রকাশকে অসহিষ্ণুতা এবং ধর্মান্ধতার হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিজীবীসহ রাজনৈতিক নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় আর্টিকেল নাইনটিন।

গত ১২ আগস্ট ২০২২ নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠানে নির্বাসিত লেখক এবং অন্যান্য শিল্পীদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় প্রদানের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ার আগমুহূর্তে হামলার শিকার হন সালমান রুশদি। 

আরও পড়ুন :  সালমান রুশদি বিতর্কিত কেন?

১৯৮৮ সালে তার উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হয়। তাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পরের বছর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এই লেখককে হত্যার ফতোয়া দেন। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হত্যার ফতোয়া মাথায় নিয়ে অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকতেন তিনি।

এএ