কৃষি, চামড়া ও ওষুধ শিল্পখাতে উৎপাদিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য শনাক্তকরণ ও সঠিক সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতে এবং দেশে রকেট্রি গবেষণায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

এটুআই এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কর্তৃক আয়োজিত ‘ট্রেসেবিলিটি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ এবং ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্ভাবকেরা স্ব-স্ব আইডিয়ার প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দুটি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

আয়োজকরা জানান,‘ট্রেসেবিলিটি চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় কৃষি, চামড়া ও ওষুধ শিল্পখাতের সাপ্লাই চেইনে জড়িত প্রান্তিক পর্যায়ের অংশীজনদের খোঁজে বের করা এবং এর প্রতিটি পর্যায়ের সম্ভাব্য ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে একীভূত করা যায় এমন পদ্ধতির সন্ধান করা। যাতে খামার থেকে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছানোর পরিবহন ব্যবস্থার গতিবিধি চিহ্নিতকরণ, অনুসরণ ও শনাক্তকরণ ছাড়াও পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া, মেয়াদোত্তীর্ণসহ সব প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। যা ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান হয়ে উঠবে। এই ট্রেসেবিলিটি প্রতিযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি অথবা বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক তাদের উদ্ভাবনী সমাধান প্রস্তাবনা আকারে জমা দিতে পারবেন।

অন্যদিকে, রকেট্রির প্রতি আগ্রহীদের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করা ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে চালু হলো ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’। মডেল রকেটের নকশা তৈরি, নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের জন্য নিরাপদ ইকোসিস্টেম তৈরির উদ্দেশ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। যা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত এর শিক্ষার্থীদের মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী করে তুলবে। বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এটুআই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, ব্লকচেইন ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনবান্ধব উদ্ভাবনী আইডিয়ার মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাতের উন্নয়নে দেশীয় উদ্ভাবকেরা তাদের প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মহাকাশ গবেষণা এবং ট্রেসেবিলিটি উন্নয়নে দেশীয় উদ্ভাবকদের কাছ থেকে আসা আইডিয়াগুলোর সফল বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবিষ্যতে এ খাতে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। এছাড়াও আগামী দিনে নতুন নতুন খাতে এটুআই এধরনের আরও প্রতিযোগিতার আয়োজন অব্যাহত রাখবে, যেখানে দেশের তরুণ উদ্ভাবকেরা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসবেন।

এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে এবং বেসিস-এর পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, বেসিস এর সহ-সভাপতি আবু দাউদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার একেএম এনায়েতুল কবির, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এটুআই-এর ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফী, এটুআই-ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি