রাজধানীর বাড্ডায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে আহত কলেজছাত্র মো. কাজল গাজী (১৮) একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি গুলশান কমার্স কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

খবর পেয়ে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাদিম জানান, সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বাড্ডা থানার আফতাব নগর বেপারি বাড়ির পেছনে প্রতিপক্ষের হামলায় লোহার রডের আঘাতে মাথায় গুরুতর আহত হয় কাজল। ওই দিন রাতেই তাকে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহতের চাচা গাজী ফারুক ঢাকা পোস্টকে জানান, গত সোমবার আফতাবনগরে ক্রিকেট খেলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষের মীমাংসার জন্য কাজলকে স্থানীয়রা ডেকে নিয়ে গেলে সেখানে মীমাংসা শেষে কাজল মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। তখন সিনিয়রদের স্থানীয় গ্যাংস্টার গ্রুপের ইকবাল (৩৪) ও পাপ্পুর (৩২) ইন্দনে ইমন (২২), রাব্বি (২১) ও সাগর (২২)  রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে কাজলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে তাকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ না থাকায় পরে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত কাজল গাজী বাড্ডার দাওকান্দি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. কামাল গাজীর ছেলে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।

ওএফ