ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা, আসামি হচ্ছেন সোহেলসহ শীর্ষ নেতারা
ইট-পাটকেল ছুড়ে ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবে পুলিশের ওপর হামলা করা ছাত্রদল নেতাদের শনাক্তে তদন্ত করছে পুলিশ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে শাহবাগ থানা, রমনা উপ-কমিশনারের কার্যালয়সহ রমনা বিভাগের বেশ কয়েকটি থানা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। শনাক্তের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
রোববার রাতে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছি। তাদেরকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, গাড়ি ভাঙচুরসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করেছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্তের কাজ চলছে। শনাক্তের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নাম আসতে পারে। সমাবেশের শুরুতে তিনি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। সংঘর্ষের সময়ও তিনি সেখানে ছিলেন। এছাড়াও বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হবে মামলায়।
এদিকে দুপুরে প্রেসক্লাবে সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে ছাত্রদলের তিন নেতা ডিবির হাতে আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ডিবির দায়িত্বশীল কেউ এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
বিজ্ঞাপন
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রোববার দিনগত রাতে তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির আশপাশের এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম ও ছাত্রদলের পদ-পদবী জানা যায়নি।
এর আগে দুপুরে কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের উদ্যোগের প্রতিবাদে রোববারের এই কর্মসূচি ছিল ছাত্রদলের। এই প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।
হামলার বিষয়ে দুপুরে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গায় অনুষ্ঠান করতে হলে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। আজকে ছাত্রদল কর্মসূচি করার জন্য কোনও অনুমতি নেয়নি। তাদের আমরা সকালে জানিয়েছি- আপনারা অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করেন। সেটা না করে প্রেসক্লাবের এক ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে পুলিশের ওপর হামলা করে, প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইট-পাটকেলও মারল। আমরা খেয়াল করেছি, প্রেসক্লাবের ভেতরে কোনো ইট নেই। তাহলে এত ইট আসলো কোথা থেকে? তার মানে এই যে, তারা ইট সংগ্রহ করেছে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এটার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান আগামীতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এআর/এইচকে