পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ব‌লেছেন, হুমকি শেষ হয়ে যায়নি। যতদিন পর্যন্ত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। কোথাও কোথাও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ জঙ্গিরা যেন আমাদের অবাক বা সারপ্রাইজ করতে না পারে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে বি‌শেষ অতিথির বক্তব্যে তি‌নি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা রক্তপাত পছন্দ করে না, নির্মম হত্যাযজ্ঞ পছন্দ করে না। আমাদের দেশে যে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত, সেটি সুফি-সাধকদের দ্বারা প্রচারিত ও প্রসারিত। ফলে আমাদের দেশে ইসলামি যে মূল্যবোধ, প্রভাবিত সেটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। সে কারণে বারবার জঙ্গিবাদ প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি।  বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তি‌নি ব‌লেন, তালেবানরা যখন যুদ্ধ করছিল, বাংলাদেশ থেকে অনেকে সেখানে গিয়েছিল। তারা ফিরে এসে হুজি গঠন করে। কিছু নিরীহ মানুষকে হত্যা করার চেষ্টা করে। সেটাও প্রতিহত করা হয়। এরপরে দেখি জেএমবি, বাংলা ভাই, আব্দুর রহমানদের আবির্ভাব ঘটে। এর পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

আইজিপি বলেন, সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাংলা ভাই ও আব্দুর রহমানদের থামাতে সক্ষম হয়। ২০১৬ সালে আল কায়েদা, আইএসে উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু এ দেশীয় সন্ত্রাসী আবার বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করে। তখনও সাধারণ মানুষ ও সরকারের নেতৃত্বে তাদের পরাস্ত করা হয়। জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই সহজ ছিল না। লড়াইয়ের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স পলিসি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

পু‌লিশপ্রধান ব‌লেন, আমরা জানি যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সাধারণ মানুষকে যখন খুন করা হয়, তখন বুঝতে হবে কারা তাদের মোটিভেশন দিয়ে এ কাজগুলো করাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। আইএস ও আল কায়েদার বিস্তারে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। এ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

এএজে/আরএইচ