শহীদ মিনারে লিলি চৌধুরীকে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
লিলি চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ
শহীদ মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী, প্রয়াত সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মা ও নাট্যাভিনেত্রী লিলি চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ঢাকার মঞ্চ নাটক আন্দোলনের পথিকৃৎ রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফসহ বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, শহীদ মুনীর চৌধুরী ও লিলি চৌধুরী যুগলকে বাংলাদেশের মানুষ তথা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। তাদের একজন পঞ্চাশের দশকে ভাষা আন্দোলনে পুরো দেশকে যেমন আলোড়িত করেছিলেন, আরেকজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন দিয়ে দেশকে আলোড়িত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন- সব ক্ষেত্রেই এ পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। এ পরিবারের কাছে বাংলাদেশ ঋণী হয়ে থাকবে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সরকারও লিলি চৌধুরীকে সম্মাননা দেয়নি। তিনি একুশে পদক পাননি, স্বাধীনতা পদক পাননি। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য যে, এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পদক দেওয়া হয়েছে। আমি আজ এ মঞ্চে সরকারের কাছে দাবি জানাই, এ বছর স্বাধীনতা পদকে যেন লিলি চৌধুরীর নাম থাকে।
বিজ্ঞাপন
শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুনীর চৌধুরী ও লিলি চৌধুরীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান আসিফ মুনীর বলেন, কিছু বলার মতো মনের অবস্থা আজ নেই। তবুও আজ যারা এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। মাকে অনেকটা সময় পেয়ে আমরা ধন্য। তাকে হারানোর মধ্যদিয়ে আমরা একটি বড় খুঁটি হারিয়েছি। আপনারা সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
সোমবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় বনানীর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন লিলি চৌধুরী। বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে। ১৯৭১ সালের পর কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। নানা জায়গায় চাকরি করেছেন। পাশাপাশি করেছেন অভিনয়ও। বেতার, মঞ্চ ও টেলিভিশনে নিয়মিত নাটক করেছেন। কণ্ঠ, স্পষ্ট সংলাপ উচ্চারণ ও সুন্দর বাচনভঙ্গির জন্য সবার মনোযোগ পান তিনি।
আরএইচ