বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিনেশন (টিকাদান) কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী, সাংবাদিকসহ দেশবাসী সকলে সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি লোককে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪৫ লাখের বেশি। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, ৩৩ লাখের অধিক তারা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গায় অঘটন ঘটেনি।’

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে অর্ডার আছে এবং কোভ্যাক্স যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা সেসব যদি ঠিকমতো পাই তাহলে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমাদের হাতে থাকবে। এই চার কোটি ডোজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাসে আসবে। এর মধ্যে যদি কোনো পরিবর্তন লাগে সেটা করব।  আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১৫ দিনের মধ্যে এক দিন ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা করব।’

তিনি বলেন, ‘সেরাম থেকে ভ্যাকসিন আনার পাশাপাশি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন যদি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় সেগুলো নিয়েও আলোচনা করব। আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণের বয়সসীমা ৪০ বছর নির্ধারণ করেছি, যদিও ভারতে ৬০ বা তার ঊর্ধ্বে লোকদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছে, বয়সসীমা কমিয়ে আনার। আমরা সেটা নিয়েও পরিকল্পনা করছি। তবে আমাদের যে বয়সসীমা দেওয়া এতে চার কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি বেশি ভ্যাকসিন আসে তাহলে বয়সের বিষয় চিন্তা করতে পারব। আমাদের টার্গেট দ্বিতীয় ডোজ যেন হাতে থাকে সেটা চিন্তা করেই কাজ করছি।’

বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন আনা হলে সেটা কীভাবে প্রদান করা হবে- জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকার যদি অনুমোদন দেয়, সেক্ষেত্রে কোন কোন কোম্পানি ভ্যাকসিন আনতে পারে সেটা তারা নিজ অর্থে ক্রয় করবে, আর সেই ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করবে তাদেরও নিজ অর্থ ক্রয় করতে হবে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তবে যে ভ্যাকসিনই আসুক সেটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আমাদের ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ও গাইড লাইন মেনে আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই শিক্ষক-কর্মচারী, কিছু সংখ্যক ছাত্র যাদের হল খুলে দেওয়া হবে তাদেরও ভ্যাকসিন দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদেরও ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেক্ষেত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে তালিকা দিলে সে অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেব। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি যারা রয়েছেন ওই মন্ত্রণালয় তালিকা দিলে তাদেরও ভ্যাকসিন দিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘একইসঙ্গে পাঁচতারকা হোটেলে কর্মরতদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া সকল পোর্টে কর্মরতদের ভ্যাকসিন দিচ্ছি। আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত কর্মসূচি নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।’ 

এসএইচআর/এফআর