গণপূর্তের সচিব ও রাজউকের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে নোটিশ
ধানমন্ডির আবাসিক এলাকা থেকে অনুমোদনহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাতে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করায় গণপূর্ত সচিব ও রাজউক চেয়ারম্যানসহ সাতজনতে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে এ নোটিশ পাঠান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বিজ্ঞাপন
গণপূর্ত সচিব, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, রাজউক চেয়ারম্যান, রাজউকের অথরাইজড অফিসার-১ এবং ধানমন্ডি থানার ওসিসহ সাতজনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ ব্যর্থতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১২ সালের ১১ জুন ধানমন্ডির আবাসিক এলাকা থেকে অনুমোদনহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট সেই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যে কারণে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় যানজট নিরসন করা যায়নি। এতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। যানজটের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে অনেক সময় লেগে যায়। রায়ের পরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে ধানমন্ডির চারিদিকে বিভিন্ন কমার্শিয়াল রোডে স্থানান্তরিত হলেও রাজউকের পক্ষ থেকে রায় বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তারও আগে ২০১১ সালে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাসুদ এবং এম এ মতিন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন স্কুল, কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অনুমোদনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১১ জুন এ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অনুমোদনহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের পর ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে রাজউকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ধানমন্ডি এলাকায় ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১১টি শাখা রয়েছে। তিন বছরের মধ্যে স্কুলের শাখাগুলো একত্র করে অন্যত্র সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শাখাগুলো স্থানান্তর না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ভবিষ্যতে সিটি করপোরেশন বা রাজউককে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দিতে বলা হয়েছে।
এমএইচডি/কেএ