রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে রিভার সাইড হাসপাতালের স্টাফরা। এ ঘটনায় অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। রিভার সাইড হাসপাতালের মালিক এস এম ওসমানীর নেতৃত্বে ৭০-৮০ জন স্টাফ এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। 

আহতরা হলেন—এসআই বজলু রহমান, এসআই মোস্তাকিম কবির, এএসআই আতাউর রহমান, নায়েক রেজাউল ইসলাম, কনস্টেবল সেলিম ও কনস্টেবল মনু মিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার (৩০ নভেম্বর) রিভার সাইড হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেন হাসপাতালের নার্স লাবনী আক্তার। এ ঘটনা জানতে পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জন স্টাফ নিয়ে থানায় আসেন ওসমানী। মামলা নেওয়ায় থানার ওসি এবং পরিদর্শককে (তদন্ত) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। 

তিনি আরও বলেন, এ সময় থানার অন্য পুলিশ সদস্যদেরও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। পরে মামলা নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় তিনি পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ওসমানীসহ ছয় জনকে আটক করা হয়। ওসমানী বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। থানায় হামলায় ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে ওসমানীর স্ত্রী ডা. শারমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে গেলে পুলিশ তাদেরকে মারধর করে।

এর আগে, গত ৯ আগস্ট ওসমানীর নেতৃত্বে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরা পার্সন সাজু মিয়ার ওপরে হামলা হয়। কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা না করলেও বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে তার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন একাধিক ভুয়া চিকিৎসক। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে গেলে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার হন ওসমানী। পরে জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।

এসএএ/কেএ