আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন (২৭) নামে এক নেতার নিহত হওয়ার ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (০৮ মার্চ) চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরেফিন নগর ও মুক্তিযোদ্ধা কলোনি থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

আটকরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগরের আহসান কবির (২৬), ফজর আলী (২৯), মো. লিটন (২৮), মো. সোহেল (২৯), মো. নুর আলম (২৭) ও মো. রুবেল (২৫)।

রোববার (৭ মার্চ) রাত ১০টায় নগরীর বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন নিহত হয়।   নিহত ইমন মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নুর কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

রোববার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বায়েজিদ থানার আরেফিন নগরের মুক্তিযোদ্ধা কলোনি এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় ইমন নামে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিন আগে প্রতিপক্ষের লোকজন ইমনের ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। ইমন বিষয়টি থানায় জানালে প্রতিপক্ষ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা কলোনি এলাকায় চায়ের দোকানে প্রতিপক্ষ হামলা চালালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত আশরাফ, আলিফ, মামুন, উসমান পলিটেকনিকের ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণকারী আবু মহিউদ্দিন গ্রুপের সদস্য। তারা চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

কেএম/জেডএস