ওদের টার্গেট প্রবাসীদের বিদেশি মুদ্রা
ওদের টার্গেট প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীদের বিদেশি মুদ্রা ভাঙিয়ে ওরা দিতো জাল টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এ কৌশলে প্রতারণা করে আসছিল সংঘবদ্ধ এ প্রতারক চক্র। তবে শেষ অবধি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে ধরা পড়ে তাদের কৌশল।
সোমবার (৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার জাল নোটসহ চক্রটির দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল। আটকরা হলেন- মো. আবুল বাশার ওরফে নিরব (৪৩) ও আব্দুল করিম (৪০)। দুজনেই ভোলার বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-৩ এর দাবি, চক্রটি শুধু জাল টাকার কারবারই নয় বরং নানা ধরনের প্রতারণারও সঙ্গে এরা জড়িত। ইতিমধ্যে বনানী থানায় মামলা করা হয়েছে।
র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, র্যাব-৩ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী এলাকায় কয়েকজন বিদেশি নোট ভাঙাতে আসা লোকজনদের বিভিন্নভাবে প্রতারিত করে কৌশলে জাল টাকা দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে র্যাব-৩ এর দল গত রাতে অভিযান চালায়। এ সময় জাল টাকার কারবারি চক্রের ওই দুই সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩০টি বাংলাদেশি ১০০০ টাকার জাল নোট, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, তারা সংঘবদ্ধ জাল নোটের কারবারি ছাড়াও চোরাকারবারি ও প্রতারণামূলক কাজে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাস থেকে আসা সহজ সরল বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা ভাঙানোর নাম করে কৌশলে জাল টাকা দিতো। এভাবে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তারা।
যে প্রক্রিয়ায় জাল টাকার কারবার করতো তারা
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-৩ এর এএসপি (সিপিসি-১) মো. বশির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এরা মূলত দুভাবে জাল টাকার কারবার করে থাকে। প্রথমত, তাদের টার্গেটে বিদেশি মুদ্রা ভাঙাতে চায় এমন ব্যক্তি। যেমন প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের কাছে বিদেশি মুদ্রা থাকে। গুলশান বনানী, বাড্ডা ও তেজগাঁও এলাকার যারা বিদেশি মুদ্রা ভাঙাতে চায় তাদের টার্গেট করে কিছু ভাল টাকার সঙ্গে জাল টাকা দিয়ে বিদেশি মুদ্রা নিয়ে সটকে পড়তো।
দ্বিতীয়ত, পণ্য কেনা-বেচার ক্ষেত্রে। সাধারণ ও অশিক্ষিত দোকানিদের টার্গেট করে কোনো পণ্য ক্রয় করে জাল টাকা চালিয়ে দিতো। আটকরা এই চক্রের প্রধান ও জাল টাকা তৈরির কারখানা সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিচ্ছে না। চক্রটির সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটক করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি। সেগুলো যাচাই করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেইউ/ওএফ