এটা বাস্তব, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে কোনো টাকা পাচার না হয় সে বিষয়ে বর্তমান কমিশন তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত কমিশনার মো. জহুরুল হক।

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার মো. জহুরুল হক কাজে যোগ দেন। 

অর্থপাচার প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, অর্থপাচারের ব্যাপারে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, আমাদের কাছে লিস্ট চাইছেন। আমরা লিস্টগুলো কোয়ারি করব, খুঁজব, দেখব তারপর কোর্টকে জানাব। কোর্ট যে অ্যাকশন নিতে বলবেন সেই অ্যাকশন নেব। আইনের বাইরে আমাদের কারোই যাওয়া সুযোগ নেই। এটা বাস্তব, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হচ্ছে। দেশের জন্য এটা বড় ধরনের সমস্যা। এই কমিশন তৎপর থাকবে ভবিষ্যতে যাতে কোনো টাকা পাচার না হয়। যেগুলো পাচার হয়েছে সেগুলো কীভাবে আনা যায়, সুপ্রিম কোর্ট কী আদেশ দেন তার ওপর নির্ভর করবে।

কমিশনার বলেন, দু'চার মাস গেলেই বুঝতে পারবেন যে এই কমিশন যথেষ্ট অ্যাকটিভ, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের চেষ্টা করছে। দুর্নীতি একশ ভাগ বন্ধ হবে না, তবে কমানোর চেষ্টা করব।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, সবকিছুর একটা পদ্ধতি থাকে। পদ্ধতি অনুযায়ী, আইন অনুযায়ী যতখানি সুযোগ রয়েছে সেটা করার চেষ্টা করব। এছাড়া দুদকের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা-স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুদকের নবনিযুক্ত কমিশনার জহিরুল হক ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর জহুরুল হক অবসরে যান। তিনি দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

আরএম/জেডএস