গভীর নলকূপ থেকে পানি উত্তোলনের ফি আরোপ করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিট প্রতি গুনতে হবে ৬ টাকা এবং অনাবাসিক গ্রাহকদের গুনতে হবে ১২ টাকা ৩৪ পয়সা। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এ ফি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ওয়াসার অনুমোদিত ৪ হাজার ৩০০টি গভীর নলকূপ রয়েছে। নিয়মানুযায়ী গ্রাহকদের শুরুতে ফি দিয়ে লাইসেন্স নিতে হয়। এছাড়া প্রতি বছর আবার ওয়াসাকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে সেই লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। এসবের পাশাপাশি নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে উত্তোলন করা পানির জন্য একক প্রতি ওয়াসার কাছে টাকা পরিশোধ করতে হবে। পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬-এর ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। 

যদিও ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনকে নিরুৎসাহিত করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ফি আরোপের এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

সংগঠনটির সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওয়াসা আমাদেরকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে পারছে না। সে কারণে আমরা নলকূপ বসাতে চাই। নলকূপ বসাতে আমাদের অনেক টাকা লাগে। এরপর বিদ্যুৎ খরচ করে পানি উত্তোলন করি। এছাড়া ওয়াসাকে লাইসেন্স ফি দেই। এখন আবার পানি উত্তোলন করতে কেন এককপ্রতি ওয়াসাকে ফি দিতে হবে। এটি গ্রাহকের স্বার্থবিরোধী। এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আফরোজা কালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোর্ডে গভীর নলকূপে পানি উত্তোলনের ফি আরোপের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটি এখন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।

মিজানুর/কেএ