‘দি হিডেন ডাইমেনশন অব প্রভার্টি’ শীর্ষক একটি গবেষণা কর্মসূচির ফলাফলকে স্বীকৃতি দিতে তিন দিনব্যাপী ফলাফল প্রকাশ কর্মশালা ও আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাটি বাংলাদেশ নামের এনজিও গত ৭-৯ মার্চ পর্যন্ত শেরপুরের হুজুরিকান্দায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ছয় জন এনজিওকর্মী ও সমাজকর্মীদের সঙ্গে বাংলাদেশের ৯ জন বিশিষ্ট শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। ক্যাম্পের তত্ত্বাবধায়ন করেছেন চিত্রশিল্পী মো. দেওয়ান মিজান রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাটি বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক লেনেন রাহমান। 

বাংলাদেশি শিল্পী নাইমা হক, নাসিম আহমেদ নাদভী, সঞ্জিব দাস অপু, কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস, রাশেদ কামাল রাসেল, জাকির হোসেন পুলক, মো. দেওয়ান মিজানুর রহমান, পোলাশ লোহ, শিবলি হাওলাদার এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। ৯ জন শিল্পী গবেষণা থেকে জাতীয় পর্যায়ে পাওয়া দরিদ্রের ৯টি লুকায়িত মাত্রা চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত চিত্রাঙ্কনগুলো দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিভিন্ন ফলাফল প্রকাশ কর্মসূচিতে প্রদর্শন করবে মাটি বাংলাদেশ।

এই আর্ট ক্যাম্পে যে নয়টি মাত্রা ছিল সেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া জাতীয় মাত্রা। এগুলো হলো- মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়া, অপর্যাপ্ত অর্থ, খারাপ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা, অসুস্থ মানসিকতা ও শারীরিক রাষ্ট্র, উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানের অভাব, অপর্যাপ্ত পরিবহন, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত অবনতি, মাদকাসক্তি এবং অধিক জনসংখ্যা।

‘থিংকি, টেকিং অ্যাকশন, অ্যান্ড অ্যাডভোকেটিং উইথ দি পুওরেস্ট’ নামক প্রকল্পের অংশ ছিল, যা এটিডি ফোর্থ ওয়ার্ল্ড ও এজেন্সি ফ্রান্সেস ডেডোপ্পিমেন্ট (এএফডি) দ্বারা সমর্থিত। ‘দি হিডেন ডাইমেনশন অব প্রভার্টি’ নামক গবেষণা প্রকল্পটি বিশ্বের ছয়টি দেশে সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ গবেষণা থেকে নেওয়া তথ্য ও এর ফলাফলগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, তানজানিয়া ও বলিভিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশও এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিল। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন এটিডি ফোর্থ ওয়ার্ল্ড ও ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। এ প্রকল্পে বাংলাদেশ ও এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছিল মাটি বাংলাদেশ এনজিও।

ওএফ