মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা একটি জাহাজের নাম পাল্টে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসা রাশিয়ার জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়া ঘটনার সমাধান হয়ে গেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মস্কোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

রোববার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

রাশিয়ার জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়া ঘটনার অগ্রগতি জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্ধু রাষ্ট্রগুলো আমাদের যে বার্তা দিয়েছে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। আর এ সমস্যা সমাধানে যে খুব বেশি বেগ হতে হয়েছে তা নয়। ইতোমধ্যেই বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের কাজ সময়মতো শেষ করা হবে বলে জানান শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রূপপুরের মতো মেগা প্রকল্প আমরা সময় মতো শেষ করতে চাই। এই প্রকল্পকে আমরা গুরুত্বও দিই। মেট্রোরেলের ৬টি রুট হবে। এর একটি মাত্র সবে চালু হয়েছে। ঢাকাবাসীর ওপর এই প্রকল্পের প্রভাবও পড়েছে। সেই জায়গা থেকে রূপপুর প্রকল্প যেন সময় মতো শেষ হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, এগুলো হাই ভ্যালু প্রজেক্ট, ডিলে ইজ নট একসেপটেবল। সে জায়গা থেকে রূপপুর নিয়ে নতুন যে সময়সূচি আছে, সে সময়ে যেন শেষ হয়; সেই চেষ্টা আমাদের আছে।

রাশিয়ার জাহাজকে বন্দরে ভিড়তে না দেওয়া ঘটনার মস্কোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোটেই না।

তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজটির পণ্য আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা জাহাজ কোম্পানি ও সে দেশের বিষয়। এরচেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যে বার্তা আমাদেরকে দেয়, সে জায়গা থেকে আমরা এটার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। এটার সমাধান করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে, তা নয়। এট দ্য সেইম টাইম, আমাদের অগ্রাধিকার হলো, রূপপুরের মতো মেগা প্রকল্পগুলোকে সময়মত ডেলিভার করা। 

উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রং ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের পণ্য আসছে- এমন তথ্য নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে শেষ অবধি বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি রাশিয়ান জাহাজটিকে।

এনআই/এসকেডি