বিএনপির ছেড়ে দেওয়া জাতীয় সংসদের শূন্য ছয় আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর প্রতীক নিয়েই প্রচারণায় নেমেছেন তারা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) শূন্য ছয় আসনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ছয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে প্রার্থীদের প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার শুরু হবে। প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ১৪ দিন সময় পেয়েছেন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে ২৭ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে আগে সব ধরনের মিছিল, শোভাযাত্রা ও সভাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে ইসি।

এছাড়া মাঠে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, যারা বিভিন্ন মেয়াদের জেল-জরিমানা করতে পারেন। তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রার্থীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। 

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠান বিএনপির সাত এমপি। এরপর প্রথমে ছয়জন ও পরে একজন স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকার তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার ভিত্তিতে ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি। একটি সংরক্ষিত আসন বিধায় সেটির নির্বাচন নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত দেবে সংস্থাটি।
 
এসআর/কেএ