বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার বিচার শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ ও বিএসআরএফ-ওয়ালটন স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল-২০২২ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে দিনে-দুপুরে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় এক স্কুল ছাত্র তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়। পরবর্তীতে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আকাশ ও হানিফ নামের আরও দুজন নিহত হন। এ মামলার প্রধান সাক্ষী সুমন আহমেদ মজুমদারকে পিটিয়ে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার পর পাঁচজনকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে নিম্ন আদালতে ২২ জনের ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতেও রায় হয়েছে। এখন আপিল বিভাগে আছে।

তিনি বলেন, মামলায় বিবাদিরা আপিল করেছে। আমরাও আপিল করেছি। কারণ রায়ে কিছুটা কম-বেশি হয়েছে। আমরা কয়েকটি বছর করোনার মধ্যে পার করেছি। যে কারণে একটি বিশাল জট লেগে আছে। এই জটের মধ্যে আমাদের মামলাটিও রয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার শেষ করে রায়টি বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আদালতের কাছে এমনটিই প্রত্যাশা করছি। মামলার সিরিয়ালটি সামনে আনার চেষ্টা করছি। রায় বাস্তবায়ন হলে আমাদের পরিবার শান্তি পাবে। যারা সেদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি হবে না; তা মেনে নেয়া যায় না।

বিচারে দীর্ঘ সময় নেয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের পরিবারের চাওয়া, এটি যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়।

এই সরকারের আমলেই বিচার শেষ হবে কিনা, জানতে চাইলে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সরকারের হাতে এখনো এক বছর সময় আছে। আশা করছি, এ সময়েই আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখতে পাবো।

এসময় সাম্প্রতিক খেলাধুলায় বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরেন তিনি। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময় খেলাধুলায় আমাদের অনেক সফলতা আছে। নারী ফুটবল, ক্রিকেটে ভারতকে হারানোসহ বিভিন্ন খেলায় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে পেরেছি। খামারিদের উৎসাহিত করতে ক্যাটল এক্সপো করা হয়েছিল, সেখানে টিকিট কেটে ৫০ হাজার মানুষ প্রবেশ করেছে। 

তিনি জানান, আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, যাতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। পদ্মা সেতুর কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪ হাজার ৭১১ জনকে ট্রেনিং দিয়েছি এবং ঋণ দিয়েছি। তারা এখন অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফ সাধারন সম্পাদক মাসউদুল হক। বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন 

ওএফএ/এমজে