জিয়া ও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র স্বাধীনতা ঘোষণার সাক্ষী: শাহাদাত
শহীদ জিয়া ও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র স্বাধীনতার ঘোষণার চিরন্তন সাক্ষী বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সমাবেশ স্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে বিএনপি সমাবেশ করবে, যেখান থেকে ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ শহীদ জিয়া দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’
বিজ্ঞাপন
২৭ মার্চ সমাবেশকে সফল করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকে প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়া ২৫ মার্চের কালো রাতে ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যান থেকে ‘আই রিভোল্ট’ বলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়া মহান স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয় ও দেশের আবাল-বৃদ্ধ-জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শহীদ জিয়া শুধু মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাই দেননি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের অনন্য অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। মূলত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের খ্যাতনামা কোনো নেতা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। এজন্য শহীদ জিয়ার প্রতি ওনাদের গাত্রদাহ। তাই শহীদ জিয়ার ‘বীর উত্তম’ খেতাব নিয়ে সরকার বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।”
বিজ্ঞাপন
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, ‘বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন। যারা শহীদ জিয়ার বীর উত্তম খেতাব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন-আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, সদস্য কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক সম্পাদক মোহাম্মদ বখতিয়ার, আব্দুল আজিজ, চাঁদগাও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফ খানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/ওএফ