পাঁচ দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ঢাকা সফর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিস্তা চুক্তির প্রতিটি পাতায় পাতায় সচিব পর্যায়ের স্বাক্ষর আছে। কিন্তু এটা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

সোমবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পাঁচ দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ঢাকা সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, তিস্তা চুক্তি কবে মোটামুটি ফাইনাল স্টেজে ছিল। তখন সচিব পর্যায়ে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা আমাদের জানিয়েছেন যে চুক্তির প্রতিটি পাতায় সই করা আছে।’

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি সেই ২০১১ সালে হওয়ার কথা ছিল। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্তও ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। সেই মমতাই এখনও বাধা হয়ে আছেন।

এরপর বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তার জট খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরকে ঘিরে। ওই বছরের ৭ থেকে ১০ এপ্রিলের সফরে ৩৫টি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। তবে সেখানে ছিল না তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ। ওই সফরের দ্বিতীয় দিন ৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা সরকার এ চুক্তি করার অঙ্গীকার করেছিলেন।

আবার ২০১৮ সালের মার্চে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভারত সফরেও তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন আবদুল হামিদকে মোদি জানান, এ বিষয়ে মমতাকে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। একই বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফরকে ঘিরেও তিস্তার প্রসঙ্গ সামনে আসে। যদিও সফরটির উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তারপরও মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার একঘণ্টার একান্ত বৈঠক এবং পরে মমতার সঙ্গে আধাঘণ্টার আলাপে তিস্তা নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারের ইতিবাচক অঙ্গীকারের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেষ অনলাইন বৈঠকেও বিষয়টি সামনে আনা হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের যখনই কোনো আলোচনা হয়, ইস্যুটি আমরা তুলি। শুধু তিস্তা চুক্তি কেনো, বাকি আরও ছয়টি অভিন্ন নদী নিয়েও আমাদের আলোচনা চলছে।’

এনআই/এমএইচএস