করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ থেকে দেশে আসা শ্রমিকদের এবং শহরে নিম্নআয়ের যুবকদের কাজের সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। 

বুধবার (১৭ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ‘রিকোভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ৫ বছর গ্রেসসহ ৩০ বছরে বাংলাদেশকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। 

প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ, কাউন্সিলিং, ক্ষুদ্রঋণ দেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে ১ লাখ ৭৫ হাজার দরিদ্র শহুরে যুবককে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি করোনার শিকার হয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারির পর দেশে ফেরা ২ লাখ প্রবাসীকে দেশীয় বাজারে কর্মসংস্থান তৈরিতে কিংবা ফের বিদেশে শ্রমিক হিসেবে ফিরে যেতে কাউন্সিলিং, অনুদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে প্রবাসী ও শহরের অপ্রাতিষ্ঠনিক খাতগুলো মূল ভূমিকা পালন করেছে। করোনায় এই দুই খাতই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রকল্প করোনা পরবর্তী উন্নয়নে এই দুই খাতের কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।’

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও এই প্রকল্পের দল প্রধান সাঈদ আমের আহমেদ বলেন, ‘করোনায় দেশে ফেরা প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক চাহিদায় যেমন এই প্রকল্প গুরুত্ব দেবে, তেমনি বিদেশে যেতে চাওয়া ও স্বেচ্ছায় ফিরে আসা প্রবাসীদেরও সহযোগিতা করবে। এই প্রকল্প প্রবাস থেকে ফেরা নারী কর্মীদের প্রতিও গুরুত্ব দেবে। অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি তাদেরকে মানসিক কাউন্সিলও করা হবে।’

এসআর/জেডএস